আধুনিক সভ্যতার শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি হিসেবে খ্যাত কম্পিউটার। এটি বিজ্ঞানের এক বিস্ময়। কম্পিউটার অর্থ গণনাকারী। সাধারণত যে যন্ত্রের সাহায্যে গণনা করা যায় তাকে কম্পিউটার বলে। কম্পিউটার শুধু গণনাই করে না, এটি বর্তমানে মানবজীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। কম্পিউটার যেন প্রযুক্তির নবযুগের সূচনা করেছে। আধুনিক সভ্যতার প্রতিটি কাজে এখন কম্পিউটার একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যোগাযোগ, পরিবহন, ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায়-বাণিজ্য, শিক্ষা, ওষুধ, চিকিৎসা বিজ্ঞান, গবেষণা, মহাকাশ গবেষণা, হিসাব নিকাশ ইত্যাদি কম্পিউটার ছাড়া অচল। বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও পরীক্ষা নিরীক্ষার নিখুঁত ফলাফলের জন্য বর্তমানে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। বড় বড় কলকারখানা পর্যন্ত এখন কম্পিউটার পরিচালনা করে থাকে।
কম্পিউটার শিক্ষা ছাড়া আধুনিক সভ্যতা বিনির্মাণ অসম্ভব। আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে কম্পিউটার শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কম্পিউটার শিক্ষা না থাকলে কর্মক্ষেত্রে অদক্ষ বলেই বিবেচিত হয়। কম্পিউটার শিক্ষার প্রয়োজনীয় দিকগুলো হল- ১. ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনে প্রযুক্তির কল্যাণকর সুবিধা প্রপ্তি, ২. কর্মক্ষেত্রে শ্রম ও ক্লান্তির বোঝা লাঘব, ৩. সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্র বৃদ্ধি, ৪. ই-কমার্সের কারণে অর্থনৈতিক সহজীকরণ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্র বৃদ্ধি, ৫. সফটওয়ার বণিজ্যের সম্ভাবনা সৃষ্টি, ৬. তথ্য ও উপাত্ত সংরক্ষণের নিরাপদ ক্ষেত্র, ৭. টেলিযোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, টেলিমেডিসিন, প্রোগ্রামিং, পণ্য বিপণন প্রভৃতির বিস্তার সাধন প্রভৃতি। কম্পিউটার ছাড়া যেন এখন আধুনিক সভ্যতা অচল।
কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য সিলেবাসে “কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনস” নামক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কম্পিউটার বিষয়ক তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক জ্ঞান প্রদানের জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানে একটি সমৃদ্ধ কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। এই ল্যাবে ছাত্র-ছাত্রীদের ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন সহ কম্পিউটার এর বিভিন্ন বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS